আমরা সাধারণত দেখতে পাই যে, যখন মোবাইল/ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করি তখন ভিডিওর সাইজ অনেক বড় হয়ে যায়। মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের ভিডিও রেকর্ড করলে বা সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও এডিট করলে ভিডিওর ফাইল আকার 500 MB বা তার থেকেও বেশি বড় হয়॥ কিন্তু যখন ইন্টারনেট থেকে কোনো মুভি ডাউনলোড করি তখন দেখা যায় ২ ঘন্টা HD মুভির সাইজ বা আকার মাত্র 1 GB হয়। সেটা কিভাবে সম্ভব? আসলে এখানে মুভি ভিডিওর সাইজ compressed বা সংকোচন করা থাকে।ভিডিও কম্প্রেস কী?
ভিডিও কম্প্রেশন বা সংকোচন হ'ল একটি ভিডিও ফাইলকে এমনভাবে এনকোড করার প্রক্রিয়া যাতে এটি মূল ফাইলের চেয়ে কম জায়গা ব্যয় করে এবং নেটওয়ার্ক / ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেরণ করা সহজ হয়। ভিডিও সঙ্কোচন একটি প্রদত্ত চিত্র বা ভিডিও ক্রম উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বিটের মোট সংখ্যা হ্রাস করার প্রক্রিয়া। এটি এমন এক ধরণের সঙ্কোচন কৌশল যা মূল ভিডিও ফাইল থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং অ-কার্যকরী ডেটা বাদ দিয়ে ভিডিও ফাইল ফর্ম্যাটগুলির আকার হ্রাস করে। আজকের কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কিং আর্কিটেকচারের সমস্ত উপাদান জুড়ে সংকোচনের কৌশলগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।সংকোচনের প্রয়োজন কী? ও সুবিধা কী?
ভিডিও সংকোচন করার ফলে ভিডিও ফাইলটি ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে দ্রুত শেয়ার করা সম্ভব হয়। ইন্টারনেটে ভিডিও প্লে করলে দ্রুত লোড হয় এবং বাফার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সংকোচনের ফলে স্টোরেজে অল্প জায়গা ব্যয় হয়। H.264 / AVC বা H.265 / HEVC এর মতো ভিডিও সংক্ষেপণ অ্যালগরিদমগুলি কাঁচামাল ডেটাটিকে প্রায় 1000 গুণ কমিয়ে দিতে পারে।
ভিডিও সঙ্কোচন করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সফটওয়্যার, কম্পিউটার এবং মোবাইল দুটিতেই পাওয়া যায়। ভিডিও সংকোচন করার কৌশল একদমই সহজ। মোবাইলে ভিডিও সংকোচন করার ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হলো। ভিডিও সংকোচন করতে এন্ড্রয়েডে Video Cutter and merger অথবা A/V Converter ডাউনলোড করুন এখান থেকে। Video Cutter অ্যাপটি ইনস্টল করার পর, ওপেন করে Cut লেখায় ক্লিক করুন। এরপর নিম্নোক্ত স্ক্রিনশট গুলো লক্ষ্য করুন।
এরপর সংকোচন হওয়া ভিডিওর সাথে আসলটি তুলনা করে দেখুন। বিটরেট, ফ্রেমরেট এসব নিয়ে নিচে আরো পড়ুন।
ছকগুলো আমি পরামর্শ হিসেবে দিলাম। আপনি নিজের মতো করে অথবা বিটরেট ও ফ্রেমরেট এর কমবেশী দিতে পারেন।
Compress: video settings
• Video
Format
MP4
Codec
H.264
FPS (frame per second)
30
29
25
24
Frame size
1440p
1080p
720p
• Audio
Codec
AAC
Audio Bitrate
128kbps
192kbps
Frequency
44100 Hz
Channel
Stereo
Bitrate with standard frame rates. For YouTube or social media. (30, 29, 25, 24 FPS)
Resolution type
Minimum - Maximum bitrate
1440p 3K
QHD
2000 - 3500 Kbps
1080p 2K
FHD
1300 - 2000 Kbps
720p 1.5K
HD
700 - 1400 Kbps
540p 1K
Medium
500 - 1000 kbps
360p
SD
400 - 600 Kbps
240p (15FPS)
Low
150 - 250 Kbps
If choose higher frame rate or if need excellent quality
Resolution type
Bitrate
2160p 4K
UHD
9 - 15 Mbps
1440p 3K
QHD
7 - 11 Mbps
1080p 2K
FHD
4 - 8 Mbps
720p 1.5K
HD
2 - 5 Mbps
ভিডিও কোডেক হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার, যা একটি সাধারণ ডিজিটাল ভিডিওকে কনভার্ট বা কমপ্রেস করে। কোডেক ডিজিটাল ডেটাকে এক ফরমেট থেকে অন্য ফরমেটে পরিবর্তন করে। কোডেক শব্দটি কোডার এবং ডিকোডার শব্দদুটির সমন্বয়ে গঠিত। একটি কোডার বা এনকোডারের কাজ হচ্ছে একটা ডেটাকে একটি সুনির্দিষ্ট ফরম্যাট থেকে আরেকটি সুনির্দিষ্ট ফরমেটে পরিবর্তন করা। ডিকোডারের কাজ ঠিক এর উল্টোটা করা: অর্থাৎ ডেটাকে পুরনো ফরমেটে ফিরিয়ে আনা। একটি ভিডিও কোডেকের লক্ষ্য হ'ল বুদ্ধিমানভাবে ভিডিও সামগ্রীর আকার হ্রাস করা, চিত্রের মান বজায় রেখে। কোডেক (Codec) H.264 / AVC দিয়ে বেশি করে ডেটা কম্প্রেস করা সম্ভব ভিডিও কোয়ালিটি ভালো রেখে। H.265 / HEVC এটিও H.264 এর মতই তবে এটি শুধু উচ্চ রেজুলেশনের ভিডিও কমপ্রেসনের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন, 4K ভিডিও। কারণ, H.264 উচ্চ রেজুলেশনের ভিডিও কমপ্রেসন করতে পারে না। ভবিষ্যতে আসছে AV ও VVC কোডেক। VVC Codec এ আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এবং আরো বেশি সংকোচন করতে পারবে, আনুমানিক ২০২২ সাল।
MPEG-4 ফরমেটটি প্রায় সকল ভিডিও সমর্থিত ডিভাইসেই সমর্থন করে। MPEG-4 format, H.264 and H.265 Codecs বর্তমানে জনপ্রিয়।
ফ্রেমরেট হলো প্রতি সেকেন্ডে ফ্রেমের সংখ্যা। ইংরেজিতে বলা হয় frame per second বা FPS। ভিডিও ফ্রেম হচ্ছে একেকটি ছবি বা ইমেজ (image), অনেকগুলো ছবি একত্রে দেখানোই হলো ভিডিও। মানে, ৩০ ফ্রেম করে ভিডিও রেকর্ড করলে, তা প্রতি সেকেন্ডে ৩০ টি করে ছবি বা ফ্রেম তোলে (Capture করে)। যা পরবর্তীতে ভিডিও প্লে করে দেখার সময় ৩০ টি করে ছবি প্রতি সেকেন্ডে দেখাবে। বেশিরভাগই টিভি, মুভি, নাটক ও সিরিয়াল ভিডিওগুলোর ফ্রেমরেট 24 FPS করে হয়। ভিডিওর ফ্রেমরেট বেশি হলে ভিডিও স্মুথ দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ সল্প মূল্যের ডিভাইস ৩০ fps এর বেশি দেখাতে পারে না। ভিডিও সংকোচনের সময় FPS বেশি বাছাই করলে অবশ্যই ভিডিওর বিটরেট বাড়িয়ে দিতে হবে।
বিটরেট হলো প্রতি সেকেন্ডে বিটের সংখ্যা। বিট হলো ডেটা। যেমন, প্রতি 8 bit = 1 Byte হয়, আবার 8000 Kb = 1 KB হয়। মানে ছোট b দ্বারা বিট এবং বড় B দ্বারা বাইট বোঝানো হয়। প্রতি 8 বিটে 1 বাইট করে হয়। আর, প্রতি 1024 B এ 1 KB এবং প্রতি 1024 KB এ 1 MB হয়, একইরকম ভাবে GB, TB ইত্যাদি গণনা করা হয়। বিটরেট ভিডিওর আকার(file size) ও মান নির্ধারণ করে। ভিডিওর যত বেশি বিটরেট হয় তত বেশি ভালো মানের এবং আকার বড় হবে। কারণ, ফাইলের আকার = বিটরেট × সময়কাল। ধরুন, প্রতি সেকেন্ডে 1000 Kb করে বিটরেট দিয়ে কমপ্রেস করা হলো। তাহলে, 60 সেকেন্ড ভিডিওর সর্বোচ্চ আকার হবে 1,000 × 60 = 60,000 Kb ÷ 8 b = 7.500 KB বা 7.32 MB ভিডিওর রেজুলুশন ও উজ্জ্বল রঙের উপর ভিত্তি করে বিটরেট বাছাই করা যায়।
R. 190x190px Quality: 100% Size: 89 KB
R. 190x190px Quality: 90% Size: 10 KB
R. 190x190px Quality: 40% Size: 2 KB
উপরে ছবি তিনটি একই রেজুলুশনের। কিন্তু এর ফাইল সাইজ ভিন্ন।
বিটরেট হলো প্রতি সেকেন্ডে বিটের সংখ্যা। এ ব্যাপারে আমরা “ভিডিও বিটরেট” এ আলোচনা করেছি। অডিও কোয়ালিটি ভালো পেতে 128 Kbps বাছাই করুন। QHD বা UHD ভিডিও হলে 192 Kbps নিন। আর যদি অডিওতে শুধু কথা বলা হয়, কোনো মিউজিক না থাকে, তবে 64 kbps নিতে পারেন। মিউজিক যুক্ত অডিওতে বিটরেট কম নিলে শব্দ (sound) কম হবে।
অডিও ফ্রিকুয়েন্সি (AF) বা শ্রবণযোগ্য ফ্রিকুয়েন্সি হলো পর্যাবৃত্ত কম্পন। যার ফ্রিকোয়েন্সি গড় মানব, শ্রবণযোগ্য হয় মানুষের শুনানির পরিসর। SI unit ফ্রিকুয়েন্সি হয় হার্জ (Hz)। এটি শব্দের উৎপত্তি যা সর্বাধিক পিচ নির্ধারণ করে। মানুষের জন্য সাধারণত গৃহীত মানক শ্রবণশ্রেণী 20 Hz থেকে 20,000 হার্জ হয়। Sample rate 44100 Hz নিন, ভিডিও বা অডিও সংকোচনের সময়।
Monoral বা Monophonic শব্দ Mono তে সংক্ষিপ্ত। বহুমাত্রিক বা চতুর্মুখী শব্দ হলো Stereophonic বা সংক্ষিপ্ত Stereo (স্টেরিও)। স্টেরিও দুটি ভিন্ন সাউন্ড রেকর্ড করে এবং শোনায়। মনোতে একটি স্পিকারই যথেষ্ট। মনোতে একাধিক স্পিকার গুলোতেও একই শব্দ শোনায়। মনোতে ১ দিক থেকে আগত শব্দ শোনা যায়। সাধারণত মঞ্চে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন দিক থেকে আগত শব্দ ভিন্ন অবস্থান অনুভব/নির্দিষ্ট করে শোনার জন্য স্টেরিও এর প্রয়োজন আছে। স্টেরিও দ্বি-মুখী বা চতুর্মুখী শব্দ শোনায়। যেমনঃ হেডফোন, দুই বা আরো বেশি লাউড স্পিকার। নিম্নোক্ত সাউন্ড হেডফোন, ইয়ারফোন ব্যবহার করে অনুভব করতে পারেন, পরীক্ষামূলক অডিও+ভিডিও। অডিও শুনতে ব্রাউজারের অডিও 🔊 প্লে চালু থাকতে হবে।
আকৃতির বা রেজুলুশনের অনুপাত কত হবে তাই aspect ratio.